গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সবচেয়ে বেশি হয়েছে নির্বাচনের বছরগুলোয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় যা ছিল দ্বিগুণ। এর মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৪৬৬ জনকে হত্যা করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এ বছরই সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ গুম হয়। কারাগারে মৃত্যুও ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শাসনামলে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন। এ সময়ে গুম হন ৬৭৭ জন, কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৪৮ জন। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তালিকাসহ ২০২৪ সালের ঘটনা যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়াবে বলে দাবি সংগঠনটির। অধিকারের প্রতিবেদন বলছে, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন বজায় রাখতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। অকার্যকর বিচার ব্যবস্থার কারণে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করে এসব বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সরকারের সমালোচক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের কাজে সরকারের পক্ষে আইনপ্য়ো্গরকারী সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করা হয়। এসব বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম-খুনের ঘটনার মধ্যে নির্যাতনে হত্যা, ক্রসফায়ার, হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের গুলি,ব্যবসায়ীকে আটক করে মালামাল লুট, নাগরিকদের গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের মাধ্যমে
এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে অধিকারের পরিসংখ্যান
বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার বছর
২০০৯ সালে হত্যার শিকার হন মোট ১৫৪ জন।
এছাড়া ২০১০ সালে ১২৭ জন, ২০১১ সালে ৮৪,
২০১২ সালে ৭০ জনকে হত্যা করা হয়। নির্বাচনের
আগে ২০১৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৯
জনে। আর নির্বাচনের বছর ২০১৪ সালে ১৭২ জন,
২০১৫ সালে ১৮৬, ২০১৬ সালে ১৭৮, ২০১৭ সালে
১৫৫ জনকে হত্যা করা হয়।
২০১৮ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরে
বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয় ৪৬৬ জনকে।
২০১৯ সালে ৩৯১ জন, ২০২০ সালে ২২৫ জনকে
হত্যা করা হয়