শীতে বিয়ের আয়োজন করা হলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এক নজরে দেখে নিন শীতে বিয়ের ৭টি সুবিধা-
১.লম্বা ছুটি: বেশিরভাগ স্কুলে নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। অতএব ছেলে-মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরে স্কুল বন্ধ থাকে। এসময় তাদের সঙ্গে ছুটি মিলিয়ে বড়রাও সহজে বেড়াতে যেতে পারেন। এ সুযোগেই সব আত্মীয়স্বজন একত্রিত হতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময় সবাইকে একত্রে পাওয়া অতটা সহজ নয়। তাই বিয়ের জন্য বেশিরভাগ মানুষ শীতকালই বেছে নেন।
২.সাজগোজে স্বস্তি: বিয়েতে বর-বউ দুজনকেই সাজতে হয়। বরের সাজ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না থাকলেও বিয়ের সাজে কনে দেখতে কেমন হবে তা নিয়ে সবার আগ্রহ থাকে। আর তাইতো মনের মতো করে সাজতে চান প্রত্যেক কনেই। শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। একটু বেশি ঘামলেই গলে গলে পড়ে সব সাজ। তাই কনের সাজ হোক বা বরের, শীতকালে বিয়ে হলে যত খুশি সাজুন, নষ্ট হওয়ার এতটুকু ভয় নেই। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মনমতো।
৩.ডেকোরেশন: বিয়েতে ফুল ছাড়া আবার ডেকোরেশন হয় নাকি? পারফেক্ট ডেকোরেশনের জন্য ফুল চাই চাই। শীতকালে সব ধরনের ফুল সহজলভ্য। ফুলের সহজলভ্যতা বিয়ের উৎসবকে আরও বেশি জমকালো এবং অভিজাত করে তোলে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই সব ধরনের ফুলের দামও কমে যায় অনেক।
৪.কম পরিশ্রম: দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেলসহ কত কাজই না করতে হয় বিয়েতে! এই কাজগুলো সবাই মিলে হাত লাগিয়ে সারতে হয়। রাত জাগা, প্রভৃতি উৎপাতে অনেক এনার্জি খরচ হয়। গরমের দিনে একটু পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতকালে বিয়ে হলে সেই ভয় কমে যায়। বরং কাজ করলে শীতের অনুভূতিটা কম হয়। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে দিতে আগ্রহী থাকে এই সময়। তাই বিয়ের জন্য শীতই পারফেক্ট মৌসুম।