টেকনাফ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ তার ফেইজবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়ে যা লিখেছেন
প্রিয় টেকনাফ সদর ইউনিয়নবাসী
আসসালামু আলাইকুম
আমাকে ক্ষমা করুন আপনারা। টেকনাফ উপজেলায় কয়েকদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হওয়া বৃষ্টিপাতে পানিতে প্লাবিত হয় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৭০% এলাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিস কতৃর্ক বরাদ্দকৃত পানি বন্দি অসহায় মানুষের জন্য ১০ কেজি করে ৫০০ পরিবারের চাউল ইউনিয়ন পরিষদে জমা ছিল। আমি বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অফিস করে ৫নং ওয়ার্ড খোনকার পাড়ায় পানি বন্দি পরিবারদেরকে সরেজমিনে দেখতে যাই। তখন তাদের খাদ্য অভাব হওয়ায় আমি তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাউল আনতে নির্দেশ দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসকে অবহিত করি এবং পিআইও অফিসার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হবে বলে নিশ্চিত করলে আমি সী-বীচ রোডের চৌরাস্তায় মোড়ে অপেক্ষা করি পিআইও অফিসারকে রিসিভ করতে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩:৫৫ মিনিটে থেকে খাদ্য এসে পৌঁছায় খোনকার পাড়া কেড়ার দোকানের সামনে।
পিআইও অফিসার আসার অপেক্ষাতে আমার কাছে খবর আসে প্রিয় বাবা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেলেন। অশ্রু ভেজা চোখে মনকে শক্ত করে কেড়ার দোকানের সামনে গিয়ে ইউপি সদস্য জহির আহাম্মদের জিম্মায় চাউল প্রদান করার নির্দেশ দিয়ে আসার পথে পিআইও অফিসারকে পেলাম। আমার বাবার ইন্তেকালের খবর দিয়ে বিদায় নিলাম তাদের কাছ থেকে।
আমি তখনও বুঝতে পারি নি আমি কি করব। বাড়িতে আমি ছাড়া কেউ নাই। আত্মীয় স্বজন নিয়ে বাবার মৃত দেহ রাখা ও অতিথি বৃন্দ আসা,দূরবর্তী স্বজনকে জানানোসহ শরীয়াহ মোতাবেক কাজ সমূহ আমাকে করতে হয়েছে। যার কারণে আমি পানি বন্দি এলাকায় যেতে পারি নাই এবং আপনাদেরকে সহযোগীতা করতে পারি নাই। আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আমার বাবার জন্য সকলেই দোয়া করবেন। পানি বন্দিদের জন্য সরকার কতৃক প্রদত্ত বরাদ্দ সুষ্ঠু ভাবে বন্টন করা হবে-ইনশাল্লাহ।
@admin Post