দেশের বহুপ্রচলিত নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সর্বনিম্ন ফিঃ নিয়ে মানুষকে অগণিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নগদ হল একটি বাংলাদেশী ডিজিটাল লার্জ ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, যা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের একটি সংযুক্ত বিভাগ, বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের কর্তৃত্বের অধীনে কাজ করে। এটি বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের পূর্বে চালু করা পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের নতুন সংস্করণ। নগদ পরিচালনা করছে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। গ্রাহকদের কাছে থেকে অর্থ গ্রহণ, ই-মানি সৃষ্টি থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রমই পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি এ কোম্পানির মাধ্যমে। সংগৃহীত অর্থের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণও করছে থার্ড ওয়েভ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, নগদের কার্যক্রম চালাতে হলে ডাক বিভাগের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে হবে। এ কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে ডাক বিভাগের হাতে। যদিও দুই বছরেও সাবসিডিয়ারি কোম্পানি তৈরি করতে পারেনি ডাক বিভাগ। অন্যদিকে ডাক আইন অনুযায়ী ডাক বিভাগের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সুযোগও নেই।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডই নাম পরিবর্তন করে এখন ‘নগদ লিমিটেড’ হয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সরকারি সব পক্ষের মধ্যেই এখন এ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তর, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বলছে, আইনি প্রক্রিয়া মেনে নগদের সূচনা হয়নি। এর মধ্যেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বড় হয়ে উঠেছে ডিজিটাল সেবাটি। প্রতি মাসে এর মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সেবাটিকে আইনি কাঠামোয় আনতে গিয়ে সব পক্ষকেই জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।
দেশে কোনো কোম্পানি গঠন করতে হলে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামের কোম্পানিটি গঠিত হয়। এ কোম্পানির নিবন্ধন নং সি-১৩৪০২৭। তবে সম্প্রতি থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে ‘নগদ লিমিটেড’ করা হয়েছে। কোম্পানিটির নিবন্ধনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন নথি বণিক বার্তার হাতে এসেছে। নথিতে নগদ লিমিটেডের শেয়ারধারীদের বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও তাতে ডাক বিভাগের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শুরু থেকেই থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তানভীর আহমেদ মিশুক। কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন হয়ে নগদ লিমিটেড হওয়ার পরও এ পদেই নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। নগদের সামগ্রিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর আহমেদ মিশুক বণিক বার্তাকে বলেন, এতদিন আমরা ডাক বিভাগের সঙ্গে মুনাফা ভাগাভাগি করতাম। এক্ষেত্রে ডাক বিভাগ ৫১ শতাংশ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস ৪৯ শতাংশ মুনাফার অংশীদার ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে ডাক বিভাগ নগদ লিমিটেডের ৫১ শতাংশ শেয়ারের অংশীদার হয়ে গেছে। আমরা কোম্পানির শেয়ার বিভক্তির বিষয়টি জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানিয়েছি। ফাইলটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।
তানভীর আহমেদ মিশুকের দাবি, শুরু থেকেই নগদের সব লেনদেন ডাক বিভাগের নিয়ন্ত্রণে চলছে। তিনি বলেন, থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস শুধু প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করছে। অর্থের সব লেনদেনই ডাক বিভাগ দেখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শর্ত পূরণ করে চলতি মাসেই নগদ লাইসেন্স পাবে।
নগদের কোম্পানিতে রূপান্তরের বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে নগদের কার্যক্রম চলছে। নগদ নামে কোনো কোম্পানি গঠন হয়েছে বলে আমি শুনিনি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোম্পানি গঠন হলো কীভাবে?
থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিসের ‘নগদ লিমিটেডে’ রূপান্তরের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অগোচরেই হয়েছে বলে জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনও। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নগদের সূচনা হয়নি। আমি তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি আইনি ঘাটতিগুলো দূর করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে চায়, আমরা সেভাবেই নগদের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের বিষয়ে আমরা আইনি মতামত নিয়েছি। পোস্ট অফিস আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংক যতটুকু অনুমোদন দেবে, ততটুকু সেবাই আমরা নগদের মাধ্যমে দিতে চাই।
নগদ নামে কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর কোনো অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানান আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, নগদ ডাক অধিদপ্তরের সুনাম ব্যবহার করবে। এর বিপরীতে কোম্পানিটিতে ডাক অধিদপ্তরের ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকবে। কোম্পানি পরিচালনার পুরো অর্থ ও মূলধন থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস জোগান দেবে। কোনো কারণে ‘নগদ’ বিলুপ্ত হলে মালিকানার অনুপাতে লাভ-ক্ষতি বহন করবে।নগদ পরিচালনা করছে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। গ্রাহকদের কাছে থেকে অর্থ গ্রহণ, ই-মানি সৃষ্টি থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রমই পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি এ কোম্পানির মাধ্যমে। সংগৃহীত অর্থের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণও করছে থার্ড ওয়েভ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, নগদের কার্যক্রম চালাতে হলে ডাক বিভাগের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে হবে। এ কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে ডাক বিভাগের হাতে। যদিও দুই বছরেও সাবসিডিয়ারি কোম্পানি তৈরি করতে পারেনি ডাক বিভাগ। অন্যদিকে ডাক আইন অনুযায়ী ডাক বিভাগের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সুযোগও নেই।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডই নাম পরিবর্তন করে এখন ‘নগদ লিমিটেড’ হয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সরকারি সব পক্ষের মধ্যেই এখন এ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।
ডাক অধিদপ্তর, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বলছে, আইনি প্রক্রিয়া মেনে নগদের সূচনা হয়নি। এর মধ্যেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বড় হয়ে উঠেছে ডিজিটাল সেবাটি। প্রতি মাসে এর মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সেবাটিকে আইনি কাঠামোয় আনতে গিয়ে সব পক্ষকেই জটিলতায় পড়তে হচ্ছে।
দেশে কোনো কোম্পানি গঠন করতে হলে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’ নামের কোম্পানিটি গঠিত হয়। এ কোম্পানির নিবন্ধন নং সি-১৩৪০২৭। তবে সম্প্রতি থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে ‘নগদ লিমিটেড’ করা হয়েছে। কোম্পানিটির নিবন্ধনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন নথি বণিক বার্তার হাতে এসেছে। নথিতে নগদ লিমিটেডের শেয়ারধারীদের বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও তাতে ডাক বিভাগের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শুরু থেকেই থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তানভীর আহমেদ মিশুক। কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন হয়ে নগদ লিমিটেড হওয়ার পরও এ পদেই নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। নগদের সামগ্রিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর আহমেদ মিশুক বণিক বার্তাকে বলেন, এতদিন আমরা ডাক বিভাগের সঙ্গে মুনাফা ভাগাভাগি করতাম। এক্ষেত্রে ডাক বিভাগ ৫১ শতাংশ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস ৪৯ শতাংশ মুনাফার অংশীদার ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে ডাক বিভাগ নগদ লিমিটেডের ৫১ শতাংশ শেয়ারের অংশীদার হয়ে গেছে। আমরা কোম্পানির শেয়ার বিভক্তির বিষয়টি জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানিয়েছি। ফাইলটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।
তানভীর আহমেদ মিশুকের দাবি, শুরু থেকেই নগদের সব লেনদেন ডাক বিভাগের নিয়ন্ত্রণে চলছে। তিনি বলেন, থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস শুধু প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করছে। অর্থের সব লেনদেনই ডাক বিভাগ দেখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শর্ত পূরণ করে চলতি মাসেই নগদ লাইসেন্স পাবে।
নগদের কোম্পানিতে রূপান্তরের বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে নগদের কার্যক্রম চলছে। নগদ নামে কোনো কোম্পানি গঠন হয়েছে বলে আমি শুনিনি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোম্পানি গঠন হলো কীভাবে?
থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিসের ‘নগদ লিমিটেডে’ রূপান্তরের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অগোচরেই হয়েছে বলে জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনও। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নগদের সূচনা হয়নি। আমি তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি আইনি ঘাটতিগুলো দূর করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে চায়, আমরা সেভাবেই নগদের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের বিষয়ে আমরা আইনি মতামত নিয়েছি। পোস্ট অফিস আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংক যতটুকু অনুমোদন দেবে, ততটুকু সেবাই আমরা নগদের মাধ্যমে দিতে চাই।
নগদ নামে কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে ডাক অধিদপ্তর কোনো অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানান আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, নগদ ডাক অধিদপ্তরের সুনাম ব্যবহার করবে। এর বিপরীতে কোম্পানিটিতে ডাক অধিদপ্তরের ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকবে। কোম্পানি পরিচালনার পুরো অর্থ ও মূলধন থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস জোগান দেবে। কোনো কারণে ‘নগদ’ বিলুপ্ত হলে মালিকানার অনুপাতে লাভ-ক্ষতি বহন করবে।